মানুষ স্বভাবতই একটি রাজনৈতিক প্রাণী।’ ফলে তার ভেতর রাজনীতি সচেতনতা কাজ করে ন্যাচারালি। আর সেই ব্যক্তি যদি কবি হন, তাহলে তার রাজনৈতিক চেতনা হয়ে ওঠে আরও তীক্ষ্ণ। কারণ কবি তো অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেন না।
শিরোনাম থেকে বোঝা যায় কবিতাগুলোর মেজাজ। ফলে নতুন করে বিষয়বস্তু নিয়ে আলাপ তুলে আপনাদের বিরক্ত করতে চাই না। তবে তার এ গ্রন্থটি পড়লে বাংলাদেশের রাজনীতির একটি চিত্র পাওয়া যাবে। আমাদের জাতীয় জীবনের অর্জনগুলোকে তুলে এনেছেন তিনি। পাশাপাশি ভুল রাজনীতির চিত্রও দেখা যায়। এমনকি সদ্য পলাতক খুনি হাসিনার ফ্যাসিবাদী চরিত্রের প্রকাশ তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের শুরুতেই ঘটেছিল, তার কিছু কাব্যিক প্রকাশ পাই কবির ‘এই বধ্যভূমি একদিন স্বদেশ ছিলো’ কবিতায়।
তার আরেকটি উল্লেখযোগ্য কবিতা হলো ‘কে সিরাজদৌলা কে মীরজাফর’ এই কবিতার কিছু লাইন পড়া যাক: “শীতের রাতে যেটাকে কাশ্মীরি শাল বলে বার্তা পেয়েছিল জনপদ,/ ভোরের আলো ফোটার আগেই দেখা গেল,/ এ হলো সেই নেকড়ে যে মেষের চামড়া গায়ে জড়াতে জানে।/ ধার্মিকের ভান করে বেড রুমে ঢুকেছে জল্লাদ ট্রয়ের ঘোড়ার মতো মাসুম।” উপমার মাধ্যমে তুলে এনেছেন রাজনীতির ভেতরের গভীর ক্লেদকে। এটাই শিকদারীয় স্টাইল।
প্রিন্ট/ডাউনলোডঃ ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, রাত ১:৪২
সম্পাদক: সানি আজাদ
প্রকাশক: মিসেস সানি আজাদ