গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে হামাসের হামলার জের ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজাতে নৃশংস গণহত্যা শুরু করেছে বর্বর ইহুদি দেশ ইসরাইল। এরপর থেকে প্রতিটি দিন গাজাতে নির্বিচারে গণহত্যা ও নৃশংসতা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। মাঝে কয়েকদিন যুদ্ধ বিরতির পর ফের নির্বাচারে হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছে দেশটি।
তবে ইসরাইলের বর্তমান কার্যকলাপের জন্য তাদের ঘোর শাস্তি অপেক্ষমাণ। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা যুগে যুগে বনী ইসরাইলের পাপ, নবীদের হত্যা এবং পৃথিবীতে ফিতনা-ফাসাদের জন্য তাদের কঠোর শাস্তির কথা বলে রেখেছেন। বনী ইসরাইল বারবার অপমানিত, লাঞ্ছিত এবং ধ্বংস হয়েছে। কেয়ামত পর্যন্ত তাদের এই পরিণতি চলতে থাকবে, আর আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে তাদের জন্য শাস্তির সময়টি একসময় আসবে।
পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘আমি বনী ইসরাইলকে কিতাবে পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছি, তোমরা পৃথিবীর বুকে দুবার অনর্থ সৃষ্টি করবে এবং খুব বড় ধরনের অবাধ্যতায় লিপ্ত হবে। অতঃপর যখন প্রতিশ্রুতির প্রথম সময়টি এল, আমি তোমাদের বিরুদ্ধে কঠোর যোদ্ধা বান্দাদের প্রেরণ করলাম। তারা প্রতিটি জনপদের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়ল।’
এরপর আল্লাহ বলেন, ‘যদি তোমরা ভালো কাজ করো, তবে তা নিজের জন্যই ভালো, আর যদি মন্দ কাজ করো, তবে তা তোমাদেরই ক্ষতি করবে।’
এমন এক পরিস্থিতি যখন দ্বিতীয়বার আসবে, আল্লাহ আরো বলেন, ‘তখন আমি অন্য বান্দাদের প্রেরণ করব, যারা তোমাদের মুখমণ্ডল বিকৃত করবে এবং মসজিদে ঢুকে পড়বে, যেমন প্রথমবার ঢুকেছিল। তারা যেখানে জয়ী হবে, সেখানে সম্পূর্ণ ধ্বংসযজ্ঞ চালাবে।’
মহান আল্লাহ তায়ালা আরও বলেছেন, ‘তোমরা যদি পুনরায় একই কাজ করো, আমি তখনো একইভাবে প্রতিশোধ নিব। আমি জাহান্নামকে কাফেরদের জন্য কয়েদখানা করে রেখেছি।’
বর্তমান বিশ্বের ঘটনাবলীতে, অনেক মুফাসসিরের মতে, এই ভবিষ্যদ্বাণী বনী ইসরাইলের ওপর দ্বিতীয় বিপর্যয়ের ঘটনা হয়ে দাঁড়াবে। তারা মনে করেন, কোরআনে বর্ণিত ঐক্যহীনতা ও ধ্বংসের পথে ইসরাইলের পদচারণা এবং মুসলিম বিশ্বে তাদের নৃশংস কার্যকলাপের কারণে, আল্লাহর শাস্তি একদিন তাদের পিছু ছাড়বে না।
প্রিন্ট/ডাউনলোডঃ ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, রাত ১১:৪৭
সম্পাদক: সানি আজাদ
প্রকাশক: মিসেস সানি আজাদ